সুস্থ থাকতে লবণ কম খান

প্রকাশঃ সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৫ সময়ঃ ২:২৩ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৯:১০ পূর্বাহ্ণ

ফারজানা ওয়াহিদ

lobon1

অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এতে রক্তচাপ বৃদ্ধি পায়,  মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ বা স্ট্রোক,  হার্ট অ্যাটাক,  কিডনি ও হার্ট ফেইলিউরের ঝুঁকি বেড়ে যায়। বিশ্বের যেসব জনগোষ্ঠী লবণ কম খান তাদের শতকরা ৮০ ভাগের উচ্চ রক্তচাপ থাকে না।

যেসব জায়গার মানুষ লবণ বেশি গ্রহণ করেন।  যেমন জাপানে উচ্চ রক্তচাপ মহামারী আকারে বিস্তার লাভ করেছে। অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ করলে উচ্চ রক্তচাপ ছাড়াও অস্টিওপেরোসিস, পাকস্থলীর ক্যান্সার, শারীরিক স্থূলতা হতে পারে এবং অ্যাজমা থাকলে এর উপসর্গগুলো বৃদ্ধি পায়। ইচ্ছা থাকলেই অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ থেকে বিরত থাকা যায়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে প্রতিদিন একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি পাঁচ গ্রাম (এক চা-চামচ) বা তারও কম লবণ গ্রহণ করতে পারেন। অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য এর পরিমাণ আরও কম হতে হবে। আমরা যদি বাড়িতে কম লবণ দিয়ে খাদ্য তৈরি শুরু করি, আলাদা লবণ না খাই, লবণাক্ত খাবার এড়িয়ে চলি ও  কম লবণযুক্ত খাবার কেনা শুরু করি  তাহলে সেটাই অভ্যাস হয়ে যাবে।

 

লবণ ও সোডিয়াম কম গ্রহণের জন্য করণীয়-

 

১। খাবারের সঙ্গে আলাদাভাবে লবণ খাবেন না।

২। টেবিলে লবণদানি রাখবেন না।

৩। রান্না করার সময় খাবারে অল্প লবণ ব্যবহার করুন।

৪। ফাস্টফুড,  রেস্টুরেন্ট ও ক্যান্টিনের খাবারে প্রচুর লবণ থাকে।  এজন্য এসব খাবার কম খাবেন।

৫। টিনজাত স্যুপ,  সবজি, মাছ- মাংস,  প্রক্রিয়াজাত পনির ও মাংস, হিমায়িত খাবার, শুঁটকি মাছ যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন।

৬। খাদ্য সংরক্ষণ করার জন্য লেবুর রস,  ভিনেগার,  কাঁচা রসুন ও মশলা ব্যবহার করুন।

৭। খাদ্য সুস্বাদু করার জন্য ব্যবহৃত বিভিন্ন দ্রব্য যেমনঃ সয়াসস, সালাদ বানানোর উপকরণ, আচার কম ব্যবহার করুন।

৮। কাঁচা ফলমূল বা শাকসবজি খাওয়ার সময় লবণ দিয়ে খাবেন না।

৯। লবণবিহীন ক্র্যাকার্স,  পপকর্ন ও বাদাম খান।

১০। ঘরে-বাইরে খাদ্য নির্বাচনের আগে কম লবণ ও কম সোডিয়াম যুক্ত খাবার নির্বাচন করুন।

১১। আপনার সন্তানকে শৈশব থেকেই কম লবণযুক্ত খাদ্য খাওয়ানোর অভ্যাস করুন।

১২। হোটেল বা দোকানে ‘ধূমপান নিষেধ’,  এর পাশাপাশি ‘অতিরিক্ত লবণ খাবেন না’  লিখে রাখুন।

১৩। বাইরের খবারের ক্ষেত্রে এমন নির্দেশনা দেয়া উচিত যেন খাদ্যে লবণের মাত্রা কম থাকে।

১৪। খাদ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর এ ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করা দরকার।  যাতে তারা খাবারের গায়ে ও মেন্যুতে লবণ ও সোডিয়ামের পরিমাণ লিখে রাখেন।

 

 

প্রতিক্ষণ/এডি/এফজে

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

May 2024
S S M T W T F
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031
20G